Type Here to Get Search Results !

কোষ্ঠকাঠিন্যে বেল

এখন একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখেরও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। গরমে ক্লান্তি দূরতে কিংবা নানা রোগের উপসম ঘটাতে বেলের জুড়ি নেই। প্রাচীনকাল থেকেই বেলের শরবত ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম, যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

বেল ডায়রিয়া এবং কলেরা রোগের জন্য বেশ কার্যকর। কাঁচা বেল শুকিয়ে গুড়া করে খেলে দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া সেরে যায়। এ ছাড়া কাঁচা বেল ভাটিগো বা মাথাঘোরা রোগ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রাচীন যুগে ভাঙা হাড়ের চিকিৎসায় কাঁচা বেলের সঙ্গে হলুদ আর ঘি লাগিয়ে ব্যবহার করা হতো।
বেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্যাস্টিক অ্যালসার রোধ করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সারাতে বেল অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন সি’র অভাবে স্কার্ভি নামক চর্মরোগ হয়। বেলে থাকা উচ্চ মানের ভিটামিন এ রোগ সারাতে সাহায্য করে।
শুধু বেল নয়, বেলের পাতাও শরীরের জন্য দারুন উপকারী। বেলের পাতা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

বেলের শরবতের সঙ্গে ঘি যোগ করে প্রতিদিন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। স্ট্রোক বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই মিশ্রণ বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
প্রাকৃতিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বেলের শরবত দারুন উপকারী। এ ছাড়া এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।